শ্রীমৎ সত্যপ্রিয় মহাথের

প্রথম পাতা » গবেষণা » শ্রীমৎ সত্যপ্রিয় মহাথের


শ্রীমৎ সত্যপ্রিয় মহাথের
সমাজসেবক
শ্রীমৎ সত্যপ্রিয় মহাথের ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে তরুণ বয়সে সংসারবিবাগী হন, প্রব্রজ্যাধর্মে দীক্ষা নেন এবং ‘বিধুভূষণ বড়ুয়া’র পরিবর্তে ‘সত্যপ্রিয়’ নাম গ্রহণ করেন। একই বছর তিনি ভিক্ষু ধর্মে দীক্ষিত হন। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি উচ্চতর ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণের জন্য মিয়ানমার গমন করেন। পঠনপাঠন, অধ্যয়ন, গ্রন্থরচনা ও সাধনায় দশ বছর কাটিয়ে ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি দেশে ফিরে আসেন। তখন থেকেই তিনি ‘রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহার’-এর অধ্যক্ষ পদে আসীন আছেন । মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শ্রীমৎ সত্যপ্রিয় মহাথের ধর্মবিশ্বাসনির্বিশেষে বিপদাপন্ন নারীপুরুষকে নিজের বিহারে আশ্রয় দিয়েছিলেন। ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষুসংঘের সর্বোচ্চ সংগঠন বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি বহু আন্তর্জাতিক সম্মিলন ও সেমিনারে যোগদান করেছেন। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দের ১৪ মার্চ মিয়ানমার সরকার তাঁকে ধর্ম বিষয়ে পাণ্ডিত্য এবং ধর্মপ্রচারের মাধ্যমে শান্তি বিস্তারে অবদান রাখার জন্য পরিপূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ‘অগ্রমহাসদ্ধর্মজ্যোতিপতাকা’ উপাধি প্রদান করেন।
সমাজসেবায় গৌরবজজনক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শ্রীমৎ সত্যপ্রিয় মহাথেরকে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ‘একুশে পদক’-এ ভূষিত করা হয় ।




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ