লুৎফন নাহার কল্পনা ( Lutfon Nahar Kalpona)

প্রথম পাতা » জীবনী » লুৎফন নাহার কল্পনা ( Lutfon Nahar Kalpona)


লুৎফন নাহার কল্পনা

১৯৪৮ এর শুরুর দিকে যখন রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন দানা বাঁধতে শুরু করেছে, ঠিক এমনই এক সময়ে নাটোরের কানাইখালীতে জন্মগ্রহণ করেন লুৎফন নাহার কল্পনা । তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি। মাতা বেগম নূরতন নেছার একমাত্র সন্তান - আশৈশব কানাইখালীর মনোমূগ্ধকর প্রকৃতির মাঝে নিজেকে প্রজাপতির মত মেলে ধরা এক কিশোরীর প্রথম পাঠ নন্দনগাছি পাঠশালায় ।

স্টেশনমাস্টার পিতা খন্দকার মনওয়ার আলীর চাকরিসূত্রে শাহাগোলার পাঠশালায় তৃতীয় শ্রেণিতে পদার্পন । ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে যাওয়া বনলতা সেন এর নাটোরে । এভাবেই একদিন কানাইখালীর সেই মেয়েটিই হয়ে ওঠেন স্নাতক, নবাব সিরোজউদ্দৌলা সরকারি কলেজ থেকে । জীবনের একটা সূবর্ণ সময় কাটিয়েছেন শিক্ষয়িত্রী হিসেবে, নাটোর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে । চলার পথে সঙ্গী হন স্বামী আবু সাঈদ ভূঁইয়া । সংসারধর্মের ব্যস্ততার পাশাপাশি প্রকৃতির সেই হাতছানি তাঁকে আবারও মোহিত করে, তিনি লিখে চলেন কলম আর কাগজ হাতে । সঙ্গে চলে বইপড়া, সমদ্র যাত্রা, মানুষ ও প্রকৃতি দেখা। কিছুটা প্রচারবিমুখ ও প্রকাশের তাড়না নিয়ন্ত্রণে থাকায় নিজের মত করে যা বলতে চান, তার জন্য সময় নিয়েছেন বেশখাণিকটা । প্রথম বই “শিলাপটে অন্য ছায়া” উপন্যাসের পথ বেয়েই দ্বিতীয় উপন্যাসের যাত্রা, চোখে ঠুলি-মুখে বাঁধন এঁটে গুম হয়ে যাওয়ার সময়ে যখন সবার সত্য প্রকাশে ভীষণ ভয়, লুৎফন নাহার কল্পনা তখন লিখে ফেলেন রানা প্লাজা ট্রাজেডি নিয়ে অদ্ভূত এক উপাখ্যান,  “রানাপ্লাজার পূর্ণগ্রাস“। ৩য় গ্রন্থ হলোঃ “সড়ক দুর্ঘটনা এবং আমরা”। 




আর্কাইভ